
পবিত্রতা আর পরিশুদ্ধতার মধ্য দিয়ে পালিত হয় মাহে রমজানের সব
আনুষ্ঠানিকতা। মাসজুড়ে রোজা রাখার ধর্মীয় এবং আত্মিক গুরুত্বের কথা কমবেশি
আমরা সবাই জানি। কিন্তু রোজা রাখার শারীরিক উপকারের কথা আমরা অনেকেই জানি
না। রোজা পালন করলে পাওয়া যায় অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। তাই আজ জেনে
নেবো স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে।
দেহের টক্সিন দূরঃ
আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রতিদিন বেড়ে চলেছে প্রক্রিয়াজাত খাবারের ওপর নির্ভরতা।
যেমন- হাতে বানানো রুটির বদলে খাই পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, পিৎজার মতো নানা
ধরনের মুখরোচক খাবার। বাইরে বের হয়ে কাজের ফাঁকে ঝটপট ক্ষুধা নিবারণে
এগুলোই থাকে হাতের নাগালে। কিন্তু এসব খাবার থেকে আমাদের দেহে জমা পড়ে
ক্ষতিকারক টক্সিন। এতে অ্যাজমা, আথ্রারাইটিস, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি
ফেইলিওর, দৃষ্টিশক্তি হারানো, দাঁত পড়ে যাওয়া, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে
যাওয়া ইত্যাদির পেছনে মূল কারণ হলো এই AGE। রোজাতে দীর্ঘ সময় না খেয়ে
থাকার ফলে এই ফ্যাট কমে আসে। ক্ষতিকারক টক্সিনগুলো লিভার, কিডনি ও অন্যান্য
অঙ্গের মধ্য থেকে বেরিয়ে যায়।
হজমক্রিয়ার বিশ্রামঃ
দেহের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাবার হজমের কাজ করে, রোজার সময় তারা কিছুটা
বিরতি পায়। হজমের রস নিঃসরণ তখন ধীর হয়। খাবারগুলোও ভাঙে ধীরে। দেহে
তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা খুব সহায়ক। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিও
তখন নিঃসরণ হয় ধীরে। তবে রোজা রাখলেও পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বন্ধ হয়
না। এজন্যই পেপটিক আলসারের রোগীদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা কিছুটা
সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
এলার্জি এবং চর্মরোগ নিরাময়কঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, জীবাণু বা আঘাতজনিত কারণে দেহ যে প্রক্রিয়ায়
অসুস্থ হয় রোজা সে প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয়। ফলে রিউমাটয়েড
আর্থ্রারাইটিস, এলার্জি, সোরিয়াসিস নামক চর্মরোগ ইত্যাদি থেকে নিরাময়ে
রোজার ভূমিকা আছে বলে মনে করেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের
মতে, পিত্তথলির রোগ আলসারেটিভ কোলাইটিস নিরাময়েও রোজার ভূমিকা অনেক।